রাঙ্গামাটি থেকে বরকল হয়ে ছোটহরিনা যাওয়ার পথে ২০০ জন যাত্রী নিয়ে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ডুবে যায় যাত্রীবাহি লঞ্চ । তবে হ্রদে পানি কম থাকায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আজ সোমবার (১০ মার্চ) দুপুর ৩টায় রাঙামাটি হতে বরকল উপজেলার সীমান্তবর্তী ছোট হরিণাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চটি উপজেলার সুবলং ইউনিয়নের মরংছড়ি(মাইশছড়ি) নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনায় পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুলেখা চাকমা জানান, লঞ্চটি মাইশছড়ি নামক জায়গায় আসলে হঠাৎ পানিতে ডুবে যায়। তবে পানি কম থাকায় মানুষ হতাহত হয়নি। লঞ্চটি থেকে যাত্রীরা নিরাপদে পাড়ে নেমেছেন। তবে লঞ্চে থাকা কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল পানিতে ডুবে গেছে।
লঞ্চে থাকা যাত্রীরা অভিযোগ করেন, অতিরিক্ত মাল বোঝাইয়ের কারণে এ দুর্ঘনার শিকার হয় কাঠের এই লঞ্চটি।
লঞ্চে একদিকে যেমনি ছিল অতিরিক্ত যাত্রী, তেমনি উপজেলার বিভিন্ন বাজারের দোকানদারদের মালামাল,বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন ও পুলিশের মালামাল। লঞ্চে ধারন ক্ষমতার বাইরে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন করায় এদুর্ঘটনা হয়েছে বলে জানান অনেক ভুক্তভোগী যাত্রী।
তারা আরো জানান-বরকল উপজেলায় সড়ক পথ না থাকায় জেলার সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নদীপথ। প্রতিনিয়ত লঞ্চ মালিক সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা অতিরিক্ত লাভের জন্য ধারন ক্ষমতার বাইরে যাত্রী ও মালামাল বোঝায় করায় যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।
এ ক্ষেত্রে হরহামাশা অভ্যন্তরীন নৌযান অধিদপ্তরের নিয়ম ও আইন লংঙগন করছেন লঞ্চ মালিক সমিতি। ফলে নৌ-পথে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ।
এ দূর্ঘটনার ব্যাপারে বরকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আসমা জানান, রাঙামাটি থেকে ২০০ জন যাত্রী নিয়ে বরকল হয়ে হরিনা যাওয়ার পথে মাইশছড়ি এলাকায় লঞ্চের তলায় কাঠ ফেটে গিয়ে পানি ডুকে লঞ্চটি ডুবে যায়। খবর পাওয়ার সাথে সাথে স্থানীয় বিজিবি সেখানে গিয়ে ডুবে যাওয়া লঞ্চের যাত্রীদের উদ্ধার করে। তবে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।#