স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাক্তার সামন্ত লাল সেন বলেছেন, নতুন করে বেসরকারি মেডিকেলের অনুমতি দেয়া হবে না। নিয়ম বহির্ভুতভাবে কোনো বেসররি মেডিকেলে শিক্ষার্থী ভর্তি করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে আগামীকাল মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এই পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এ সময় তিনি পরীক্ষা সংক্রান্ত কোন অনিয়ম হলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
এ সময় তিনি জানান, এবার ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন ৫৩৮০টি। ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন ৬২৯৫টি। ৪টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ। ২ টির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম বড় কাজ হিসেবে ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে সব ফটোকপির দোকান বন্ধ থাকবে। কেন্দ্রে কেউ মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।’
এছাড়া সকাল ৮টার মধ্যে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাতে হবে। ৯টার পর কোন পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। গুজব থেকে দূরে থাকতে শিক্ষার্থীদের কাছে মেবাইল না দিতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এদিকে বেসরকারি কলেজ আর চালু না করার পক্ষে অনড় অবস্থানে থাকবেন বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘মেডিকেল কলেজে শিক্ষার মান উন্নত করতে হলে বিএমডিসিকে শক্তিশালী করার কোন বিকল্প নেই।’
এসময় তিনি স্বাস্থ্য খাতের অতীতের বিষয়ে কোন বিতর্কে যেতে চান না বলেও জানান।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে ১৯টি কেন্দ্রে ৪৪টি ভেন্যুতে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা চলবে। এবারের পরীক্ষায় ১ লাখ ৪ হাজার ৩৭৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিবেন।
সারাদেশে ১৯ টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে । পরীক্ষা নিয়ে গুজব ছড়ালে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এবার মোট পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৪ হাজার ৩শ ৭৪ জন। সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটের এর পর কোনো পরীক্ষার্থী হলে ঢুকতে পারবে না। রঙিন প্রবেশ পত্র নিয়ে হলে ঢুকতে হবে। মোবাইল, ইলেকট্রিক ডিভাইস নিয়ে হলে প্রবেশ করা যাবে না।
এদিকে উত্তরা আইচি, নর্দান মেডিকেল (ঢাকা), নর্দান মেডিকেল (রাজশাহী) ও শাহ মাখদুম মেডিকেল কলেজের (ঢাকা) ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত এবং কেয়ার মেডিকেল কলেজ (সাভার) ও নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।