সড়কে চলতি সিএনজি থামিয়ে ১০ লাখ টাকার চেক ছিনতাই এবং গণধোলাইয়ের পর উল্টো চেকের মালিকসহ তার স্বজনদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী রূপালী ইয়াসমিন রুপা নামে এক বিধবা।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, প্রায় ১ বছর আগে কালিনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজমুন নাহার ও তার স্বামী নাট্যশ্রমীর চেয়ারম্যান রুকুনুজ্জামান জুয়েল বাড়ি করার জন্য তিনশ টাকার স্ট্যাম্পে লিখিত করে এবং নাজমুন নাহারের চেক জমা দিয়ে দশ লাখ টাকা ঋণ নেয়। পরে দেই-দিচ্ছি বলে টাকা না দিলে ভুক্তভোগী আদালতের স্মরণাপন্ন হন। গত ৬ মার্চ আদালতে ওই মামলার তারিখ থাকায় চেক ও মামলার কাগজপত্রসহ শেরপুর যাওয়ার পথে বালুঘাটা চুয়া ব্রিজ এলাকায় দুটি মোটরসাইকেলে চারজন গিয়ে সিএনজি থামায়। পরে ভুক্তভোগী রুপালীর কাছে থাকা চেক ও মামলার কাগজ ছিনিয়ে নিয়ে ফিল্মী স্টাইলে পালিয়ে যায় রুকুনুজ্জামান জুয়েলসহ অন্যরা। ঘটনাটি তাৎক্ষণিক নালিতাবাড়ী থানায় এবং বিকেলে আদালতকে অবহিত করেন। এর কিছু সময় পর নালিতাবাড়ী শহরের শুঁটকি মহলে রুকুনুজ্জামান জুয়েল ভুক্তভোগী ও তার দুলাভাইকে দেখে সটকে পড়ার চেষ্টা করে। কিন্তুু ততক্ষণে তাকে আটকে চেক ফেরত চাইলে উৎসুক জনতা ছিনতাইকারী ভেবে কিছু উত্তম-মধ্যম দেয়। এসময় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা ছুটে এলে জুয়েল কাগজে লিখিত আকারে চেক ফেরতের কথা লিখে চলে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার কথা থাকলেও টাকা ও চেক দিতে তালবাহানা করায় ১০ মার্চ আবারো আদালতের স্মরণাপন্ন হন তিনি। এরপর ১১ মার্চ টাকা আত্মসাতকারী ও চেক ছিনতাইকারী নাজমুন নাহার বাদী হয়ে ভুক্তভোগী রুপালী এবং তার ভগ্নিপতি তোফাজ্জল ও কর্মস্থলের মালিক মুঞ্জুরুল আহসানকে আসামী করে আদালতে উল্টো মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পাওনা টাকা আদায়, চেক ফেরত এবং মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুকুনুজ্জামান জুয়েল সাংবাদিকদের বলেন, এখন তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেলে আছেন। মেডিকেল থেকে ফিরে এ বিষয়ে তিনি কথা বলবেন বলে জানান।#