রাত সোয়া একটা। সড়কে দাঁড়ানো কাটা পিকআপ। ১০০ ফুট দূরত্বে গরুর খামার ও পাকা বসতবাড়ি। মালিক আধো ঘুমে আঁচ করতে পারেন গরুর খামারের দরজা খোলা। বের হয়ে যখনই খামারের পাশে গেলেন গরু ডাকাতেরা বাতি জ্বালিয়ে পরপর দুটি গুলি ছুঁড়েন। তখনই গরু মালিক বাড়িতে ঢুকে নিরাপদে আশ্রয় নেন। ডাকাতেরা খামার থেকে চারটি গরু বের করে ১০০ ফুট দূরত্বে দাঁড় করিয়ে রাখা পিকআপে তুলে নেন। তবে তিনটি গরু তুলতে পারলেও ছোট একটি গরু পিকআপে তুলতে না পেরে ফেলে চলে যান ডাকাতেরা। গুলি ছোঁড়ার কারণে নিঃসংকোচে এবং বিনা বাধায় ডাকাতি শেষ করেন ডাকাতেরা।
রোববার দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে পেকুয়া-বরইতলী সড়কের হাজীরঘোনা ব্রিজ (সালাহউদ্দিন ব্রিজ নামে পরিচিত) এলাকায় মাস্টার আহমদ কবিরের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। মাস্টার আহমদ কবিরের ছেলে মনিরুল কবির রাশেদ গরুগুলো লালনপালন করতেন। তাঁর বড়ভাই জাহেদুল কবির চট্টগ্রাম শহরের চকবাজার থানার ওসি। ঘটনার পর পেকুয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
গরুর মালিক মনিরুল কবির রাশেদ বলেন, ডাকাতির পর গরুভর্তি পিকআপটি চকরিয়ার বরইতলী রাস্তার মাথার দিকে চলে গেছে।
অনেকে ধারণা করছেন, সম্প্রতি ওসি জাহেদুল কবির চকবাজার থানাধীন এলাকা থেকে চকরিয়ার সাহারবিলের ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইনকে গ্রেপ্তার করেছেন। এই ক্ষোভ থেকে গরু ডাকাতেরা ওসির গ্রামের বাড়ির গরু লুট করেছে কিনা খতিয়ে দেখতে দাবি করেছেন স্থানীয় লোকজন। #