ইটভাটা করতে হলে গুনতে হবে এক কোটি টাকা। পরে এক বিএনপি নেতার বাসায় কয়েকজন ইটভাটা মালিক মিলে মধ্যস্থতা করে ৮০ লাখ টাকা দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। চাঁদা না দেওয়ায় সিনেমা স্টাইলে ইটভাটার অফিসে হামলা চালিয়ে নগদ ৪/৫ লাখ টাকা লুটসহ ভাটার ম্যানেজার ও
অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ইউভাটা মালিক এস এম শহিদ উল্লাহ। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় ঘটনাটি ঘটেছে রাউজান থানাধীন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আলীখীল এলাকায় অবস্থিত রাউজান ব্রীক মেনুফেকচার (আরবিএম) এর অফিস কক্ষে। সন্ত্রাসী হামলায় ইটভাটা অফিসের দুই কর্মচারি কবির হাসান এবং দিদার হাসান আহত হয়েছেন। আহত দুজন রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ইটভাটা মালিক ব্যবসায়ী এস এম শহিদ উল্লাহ জানান, এমনিতেই বর্তমান পরিস্থিতিতে ইটভাটা চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন মালিকপক্ষ। তার উপর এই ধরনের চাঁদাবাজির ঘটনা ও হুমকিতে জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত তিনি।
এই ঘটনায় ইটভাটা মালিক ব্যবসায়ী এস এম শহিদ উল্লাহ বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৯ থেকে ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদী এস এম শহিদ উল্লাহ রাউজান পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের এস এম শফির ছেলে।
দায়ের করা মামলার আসামিরা হলেন- রাউজান সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হরিষখান পাড়ার মৃত বজল আহম্মদের ছেলে আজিজ উদ্দিন (৫২), একই এলাকার রাসেল (৩২), মো. রাকিব (৩০), গুলজারপাড়া কাগতিয়া এলাকার মো. ইসহাকের ছেলে নুরুন্নবী (৩০), কাগতিয়া মাইজপাড়া এক নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মাহাবুল আলমের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩৫), নাতোয়ান বাগিচা এলাকার মো. ইব্রাহীম (২৮) ও গহিরা নয়াহাট এলাকার আফসার (৩৮)।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলার এক নম্বর আসামি আজিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ৫টি হত্যাসহ অন্তত ১৪টি মামলা রয়েছে। সে বিগত সময়ে উপজেলা যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। বাকী আসামিদের বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে ।
মামলার বাদি এস এম শহিদ উল্লাহ জানান, গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর গত ১ ডিসেম্বর মামলার আসামিরা ইটভাটা চালাতে হলে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। এর আগেও কয়েক দফায় সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিতে হয়েছে। এক কোটি টাকা চাঁদা না দিলে আমার ইট ভাটাবন্ধসহ মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। চাঁদা দিতে আমার উপর চাপ প্রয়োগ করে আসছে। সর্বশেষ চাঁদা না পেয়ে রবিবার রাতে আমার ইটভাটায় গিয়ে অফিসে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এ সময় ফাঁকায় গুলিবর্ষণ করে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করেন সন্ত্রাসীরা। অফিস কক্ষে ভাঙচুর করে নগদ ৪/৫ লাখ টাকা লুট করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইটভাটায় হামলার অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।#