এম.নাজিম উদ্দিন,রাঙামাটিঃ-
রাঙামাটিতে পর্যটকের নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকাসহ সর্বস্ব লুটের ঘটনায় শনিবার পুলিশ শহরের একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩ জন উপজাতীয় সন্ত্রাসীকে আটক করেছে। তারা হলেন,অঞ্জন চাকমা,হিরো চাকমা,পয়েল চাকমা।
পুলিশ জানিয়েছে,সিলেট ও সুনামগঞ্জ থেকে রাঙামাটিতে ভ্রমণে আসা ৪ জন পর্যটক শনিবার সকালে রাজবন বিহার সংলগ্ন বিহারপুর এলাকার তেজপাতা বাগানে পৌঁছালে,উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা তাদেরকে আটকে ফেলে। এরপর তাদের সাথে থাকা ক্রেডিট কার্ড,মোবাইল ফোন,ঘড়িসহ সর্বস্ব কেড়ে নেয়। বেদম প্রহার করে পর্যটকদের কাছ থেকে ক্রেডিট কার্ডের পাসওয়ার্ড জেনে নিয়ে কার্ড ভাঙিয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা তুলে নেয়। সন্ত্রাসী চক্র পর্যটকদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ইউসিবি ও ইস্টার্ন ব্যাংক রাঙামাটি শাখা থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা উঠিয়ে নেয়ার ঘটনা জানার পর পুলিশ রাঙামাটি শহরের একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩ জন সন্ত্রসীকে আটক করতে সক্ষম হয়। বিলাইছড়ি উপজেলার দীঘলছড়ির বাসিন্দা রসময় চাকমার ছেলে অঞ্জন চাকমা,শহরের বিহাপুর মাষ্টারপাড়ার বাসিন্দা লোকচন্দ্র চাকমার ছেলে হিরো চাকমা ও একই এলাকার মৃত তুঙ্গচন্দ্র চাকমার ছেলে পয়েল চাকমা। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সন্ত্রাসীদের হাতে প্রহৃত ৪ ব্যক্তি রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করেছে।
সন্ত্রাসীদের হাতে প্রহৃত হয়ে সর্বস্ব হারানো ৪ পর্যটক হলেন,সিলেট জেলার বিশ্বনাথ থানার দেওকলস’র বাসিন্দা মৃত ছালিক মিয়া’র ছেলে মো.রুহেল আহমদ, একই জেলার কোতয়ালী থানার কুমার পাড়ার মো. ইউনুছ খান’র ছেলে মো.ইউসুফ খান ও সিলেট জেলার জালালাবাদ’র বাসিন্দা মৃত ক্বারী আব্দুল বারী’র ছেলে মো.সায়খুল ইসলাম এবং সুনামগঞ্জ জেলা সদরের অচিন্তপুরের বাসিন্দা মো.মহরম আলীর ছেলে শাহিবুর রহমান।
এদেরকে রাঙামাটিতে ভ্রমণের জন্য নিয়ে আসে। তাদেরকে রাজবন বিহার দেখিয়ে বিহারের কাছের বিহারপুর তেজপাতা বাগানে নিয়ে উপজাতীয় সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা সর্বস্ব লুট করে। এঘটনায় পর্যটকদের তৃতীয় ব্যক্তি বাদী হয়ে রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় মামলা নং-১৩/২৪-০২-২০২৪ দায়ের করেছে বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো.ইরফান উদ্দিন রাজীব জানান।
কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,আটক ৩ জন সন্ত্রাসীর কাছ থেকে ২৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। তারা প্রাথমিকভাবে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আরও যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে,তাদেরকেও আটক করা হবে। তদন্ত চলছে বলে যোগ করেন এ কর্মকর্তা।#