চলছে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়। এটি চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এ নির্বাচনে প্রতিন্দ্বন্দ্বীতা না করতে পারলেও আদিয়ালা জেল থেকে ভোট দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন।
এতে বলা হয়, ইমরান জেল থেকে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন। এছাড়াও পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি, পাঞ্জাব প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী চৌধুরী পারভেজ এলাহী, আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রধান শেখ রশিদ ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীও তাঁদের ভোট দিয়েছেন। তবে ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবি ভোট দিতে পারেননি। পোস্টাল ভোট প্রক্রিয়ার পরে গ্রেপ্তার হওয়ায় ভোট দিতে পারেননি বুশরা।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ পাকিস্তানে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৮০ লাখ। নিবন্ধিত দল ১৬৭টি। জাতীয় পরিষদে প্রার্থী ৫ হাজার ১২১ জন। এ ছাড়া চার প্রদেশে প্রাদেশিক নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রার্থী ১২ হাজার ৬৯৫ জন।
বিভিন্ন দল থেকে ভোটে জয়ী প্রার্থীরা জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হবেন। যে কোনো দলে যোগ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। জাতীয় পরিষদ গঠিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে সংসদীয় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী হতে সমর্থন পেতে হবে অন্তত ১৬৯ সংসদ সদস্যের।
নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নেবেন মন্ত্রীদের, যাদের মাধ্যমে গঠিত হবে পাঁচ বছরের কেন্দ্রীয় সরকার। প্রাদেশিক স্তরে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রাদেশিক সরকার গঠনে অনুসরণ করা হবে একই প্রক্রিয়া।
এবারের নির্বাচনী দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ)। চার বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে দলে ফিরেছেন তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। পাকিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর সমর্থন রয়েছে নওয়াজের দলের প্রতি।
অন্যদিকে গত নির্বাচনে সরকার গঠন করা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতারা এবার নির্বাচন করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে। নির্বাচনে অনিয়মের দায়ে গত ডিসেম্বরে দলের প্রতীক ব্যাট বাতিল করা হয়। এদিকে দলের চেয়ারম্যান ইমরান খান নানা মামলায় রয়েছেন কারাগারে। ১০ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে গতবারের এই প্রধানমন্ত্রীকে।
Leave a Reply