
সাঈদুর রহমান রিমন, প্রধান উপদেষ্টা,দৈনিক গিরি সংবাদ ঃ-
খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগের কোল ছেড়ে ভোল পাল্টে রাতারাতি বিএনপি’র অগ্রসৈনিক হয়ে ওঠেছেন দলবাজ সাংবাদিক এইচ এম প্রফুল্ল। কিন্তু বহুরুপী এক প্রফুল্লর অপকর্মেই যে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি ডুবতে বসেছে তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন ত্যাগী নেতা কর্মীরা। বিশেষ করে ওয়াদুদ ভুঁইয়ার মতো ত্যাগী, বর্ষীয়ান নেতার নাম অহরহ বেচাকেনা করে তাকেও তিনি প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছেন।
নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য প্রফুল্ল-আলমগীরের ইটভাটা গ্রুপ সাত জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে যে বিতর্কের সূত্রপাত ঘটিয়েছেন- এর দায়ও চাপানো হয়েছে ওয়াদুদ ভুঁইয়ার ওপর। ফলে জেলা থেকে রাজধানী সর্বত্রই সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের কাছে ওয়াদুদ ভূইয়া এখন সাংবাদিক বিদ্বেষী নেতা হিসেবেই পরিচিতি পাচ্ছে।অতি সম্প্রতি আওয়ামী দোসর আখ্যা দিয়ে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ ও জেলা আওয়ামীলীগ নেতা অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরার কাছ থেকেমোটা অংকের সুবিধা হাতিয়ে নিতেও ওয়াদুদ ভুঁইয়ার নাম ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ আছে জেলার শীর্ষ ঠিকাদার ও ইটভাটা মালিক সমিতির বহুল আলোচিত নেতা সেলিম থেকে বিশেষ স্বার্থ হাসিলের। প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকদের মাথা গুনে গুনে বেচাকেনার অভিনব বাণিজ্য ফেঁদে বসেছেন তিনি।
বাংলাভিশনের খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি হলেও স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এইচ এম প্রফুল্লর পরিচিতি অন্যরকম। তাদের ভাষায়, বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগ থেকে ঠিকাদার, ঠিকাদার থেকে আবারও বিএনপির মালা গলায় তুলেছেন প্রফুল্ল। সর্বশেষ তিনি ওয়াদুদ ভুঁইয়ার নাম ও প্রভাব খাটিয়ে খাগড়াছড়ির সাংবাদিক নিয়ন্ত্রক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। দলীয় তৎপরতা কাম সাংবাদিকতায় বেজায় ছোটাছুটি চলে তার। দলবাজ সাংবাদিক আর পল্টিবাজির ওস্তাদ হিসেবেই সমধিক পরিচিত প্রফুল্ল। #
-