অবৈধ ভারতীয় ৬২ লক্ষ টাকা মূল্যের ৩ লাখ ১০ হাজার শলাকা “অরিস ও মন্ড” সিগারেট জব্দ করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। এ ঘটনায় বাড়ির মালিকসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় কাউখালী উপজেলার বেতছড়ি গুচ্ছগ্রাম এলাকার একটি বাড়ী থেকে এসব সিগারেটর আটক করে নিরাপত্তাবাহিনীর একটি দল। এসময় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৩ জন ও বাড়ীর মালিককে আটক করা হয়।
নিরাপত্তাবাহিনীর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়,অদ্য ০৬ মার্চ ২০২৫ তারিখ আনুমানিক ০৭০০ ঘটিকায় সুর্নিদিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিএ-৮৯০৫ মেজর মোঃ মিনহাজুল আবেদীন এর নেতৃত্বে ১০সি টাইপ পেট্রোল কাউখালী আর্মি ক্যাম্প হতে বেতবুনিয়া এলাকায় গমন করে। উক্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি বাড়ি থেকে (১৩ কার্টুন/ ৩,১০,০০০ পিস) অবৈধ “ওরিস ও মন্ড “সিগারেট উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য মোট ৬২,০০,০০০.০০ টাকা। এসময় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আটক করা হয় ৪ জনকে। এছাড়া ঘটনার সাথে জড়িত মো. নজরুল সহ আরও ২ জন পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
আটককৃতরা হলেন- উপজেলা যুবদলের বহিস্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম উদ্দিন (৩৮), উপজেলা কৃষকদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মো. ইসমাইল ৩৫), তাঁতীদল নেতা রিপন মিয়া (৩৪) ও বাড়ীর মালিক সামশুদ্দিন (৭০)।
আটককৃত বাড়ীর মালিক সামশুদ্দিন এর ছেলে হান্নান জানান- আব্বা বাজারে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হলে রাস্তার পাশে কয়েকটি বস্তা সহ আটককৃতদের দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করে এগুলো কি। পরক্ষনে তারা উত্তর দেয় শীতের কম্বল। আব্বা কম্বল গুলো রাস্তার পাশে ফেলে না রেখে ঘরে রাখতে বলে বড়ই বিক্রি করতে বাজারে চলে যায়। পরবর্তীতে আর্মি বাড়ীতে আসলে জানতে পারে, এগুলো ভারতীয় সিগারেট। বাড়ীতে সিগারেট পাওয়ায় আব্বাকে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম সোহাগ জানান- ৬২ লক্ষ টাকা মূল্যের ৩ লাখ ১০ হাজার শলাকা অরিস ও মন্ড সিগারেট জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাড়ীর মালিক সহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকৃতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলমান। এর সাথে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানানা তিনি।
কাউখালী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব মেম্বার জানান- আটককৃত সেলিম, ইসমাইল ও রিপনকে বিভিন্ন অপকর্মের জড়িত থাকার অপরাধে দল থেকে অনেক আগেই বহিস্কার করা হয়েছে। এরা দলের কেউ না।
সেনাবাহিনীর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয় যে, উদ্ধারকৃত অবৈধ সিগারেট পরবর্তীতে কাউখালী থানার প্রতিনিধির নিকট হস্তান্তর করা হয়। রাঙ্গামাটি জোন কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বজায় রাখতে নিরাপত্তা বাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অব্যাহত এ সকল অভিযান পরিচালনার ফলে নিরীহ জনমনে স্বস্তি পরিলক্ষিত হচ্ছে। #