এম.নাজিম উদ্দিন,রাঙামাটি
রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের আলোচিত সড়ক দূর্ঘটনার মূল হোতা সেই ঘাতক ট্রাক লড়ির চালক মো.শামসুল আলমকে পুলিশ আটক করেছে। চট্টগ্রামের একটি হাসপাতাল থেকে
আটক ঘাতক লড়ি চাকলকে মঙ্গলবার ২০ ফেব্রুয়ারী রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় নিয়ে আসা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে,রাঙামাটির বহুল আলোচিত মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনার পর পরই ঘাতক ট্রাক লড়ির চালক মো.শামসুল আলম পালিয়ে যায়। তিনি গোপনে চট্টগ্রামস্থ “পার্ক ভিউ” হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করছিলেন। প্রযুক্তির ব্যবহার ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাঙামাটি জেলা পুলিশ সেখান থেকে শুক্রবার ১৬ ফেব্রুয়ারী আটক করতে সক্ষম হয় । হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক ছাড়পত্র দিলে,মঙ্গলবার তাকে রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় নিয়ে আসে। একইদিন দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়। উল্লেখ্য,রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ঘাগড়া কলাবাগান এলাকায় বৃহস্পতিবার ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে রাঙামাটিগামী ট্রাক লড়ি চাপায় সিএনজি অটোরিক্সার সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় সিএনজি অটোরিক্সার ৩ আরোহীর মধ্যে মো.নবী হোসেন,ঘটনাস্থলে এবং মো: হানিফ ও মো.সোহেলকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। এতে আরও ২ জন গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় জেলার কাউখালী থানায় মামলা রুজু হয়েছে। তদন্তাধীন এ মামলায় পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোহাম্মদ শাহ ইমরান বলেন,ট্রাক লড়ি চাপায় ৩ জনের মৃত্যুর পরপরই লড়ি ট্রাকের ঘাতক ড্রাইভার পালিয়ে গিয়েছিল। তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আমরা আটকে সক্ষম হই। চিকিৎসক ছাড়পত্র দেয়ার পর তাকে রাঙামাটি বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করছি।