Logo
শিরোনাম :
হাদীর মৃত্যুতে উত্তাল বান্দরবান : বীর বাহাদুরের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ হারানো ৫০টি মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দিল মালিকের কাছে রাঙামাটি জেলা পুলিশ। মহান বিজয় দিবসে বীরমুক্তিযোদ্ধা পুলিশ ও শহীদ পুলিশ পরিবারকে সংবর্ধনা প্রদান করল জেলা পুলিশ রাঙ্গামাটিতে দৈনিক সবুজ বাংলার তৃতীয় বর্ষ উদযাপন মহান বিজয় দিবসে রাঙ্গামাটিতে বিএনসিসির কুচকাওয়াজ,ব্যান্ড পরিবেশন ও র‍্যালি অনুষ্ঠান ডেভিল হান্ট অভিযানে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কোতয়ালী থানায় ০১জন গ্রেফতার। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটি: সভাপতি কচি ও সম্পাদক মুরাদ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পরিবারকেও রাষ্ট্রীয় বেতন-ভাতা ও সম্মানী ব্যবস্থার দাবি মরহুম সাংবাদিক মোস্তফা কামালের স্মরন সভা,শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। কারিগরি সমস্যার কারণে সাময়িক বন্ধ থাকার পর ফের উৎপাদনে কেপিএম

খাগড়াছড়িতে রাক্ষুসে সাংবাদিকতার কীর্তি

সাইদুর রহমান রিমন- প্রধান উপদেষ্টা,দৈনিক গিরি সংবাদ। / ১৬২ বার দেখা হয়েছে
শেষ আপডেট : বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫

চাঁদাবাজি মামলা দায়েরকারী বাদী আলমগীরের ইটভাটা গত জানুয়ারি মাসেই যেহেতু সরকারি অভিযানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে- সেখানে চাঁদা দাবির সুযোগ থাকে কি?

খাগড়াছড়িতে চার সংবাদকর্মীকে মিথ্যা সাজানো চাঁদাবাজি মামলায় জেলে ঢোকানোর নেপথ্য কাহিনি ফাঁস হয়েছে। সেখানে অবৈধ ইটভাটা মালিকের অনুরোধে সাংবাদিক এইচ এম প্রফুল্ল নাটকীয়তার জন্ম দিয়েছেন, সৃষ্টি হয়েছে জঘন্যতার। ওই সাংবাদিকদের উপর তিনি প্রথম ছাত্রদল কর্মীদের লেলিয়ে দেন। তারা ওই সাংবাদিকদের হেনস্তা করেন এবং তাদের আইডি কার্ড, মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেন।

এর পর পরই প্রফুল্ল বাবুর পাঠানো পুলিশ সেখানে পৌঁছে সাংবাদিকদের আইডি কার্ড দেখতে চান। কিন্তু পূর্ব মুহূর্তেই ছিনিয়ে নেয়ায় সংবাদকর্মীরা তাদের আইডি দেখাতে ব্যর্থ হলে পুলিশ প্রথমে তাদেরকে ভুয়া সাংবাদিক আখ্যা দিয়ে আটক করে। দীর্ঘ সময় দেন দরবার শেষে সাজানো হয় চাঁদাবাজির মামলা।

ঘটনার সূত্রপাত ঘটে দীঘিনালায় সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে পরিচালিত ফোর বি ইটভাটা থেকে। ওই ইটভাটার মালিকানায় রয়েছেন মোহনা টিভির প্রতিনিধি আলমগীর হোসেন। তিনি প্রফুল্ল‘র অন্ধ ভক্ত। গত ২০ জানুয়ারি দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মামুনুর রশীদ অভিযান চালিয়ে ফোর বি ইটভাটাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন এবং স্থায়ীভাবে ভাটাটি বন্ধ করে দেন। কিন্তু প্রফুল্ল বাবুর প্রভাব খাটিয়ে আলমগীর তার ইটভাটা যথারীতি চালু রাখছিলেন।

সফররত সাংবাদিকদের ক্যামেরায় সে দৃশ্য উঠে আসায় দ্রুত সেখানে হাজির হন সাংবাদিক-কাম-ভাটা মালিক আলমগীর হোসেন। তিনি অনুনয় বিনয়ের একপর্যায়ে ৫০০০ টাকা তাদের পকেটে গুঁজে দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সাংবাদিকরা সে টাকা না নেয়ায় তিনি আতঙ্কিত হয়ে গুরু এইচ এম প্রফুল্ল‘র সাহায্য চান। বাকিটা ঘটেছে তার রাক্ষুসে সাংবাদিকতার কীর্তিতে….

মামলার এজাহারে আলমগীর বলেছেন, তার ইটভাটায় গিয়ে এ চার সাংবাদিক দুই লাখ টাকা দাবি করলে তিনি এক লাখ দিতে রাজি হন। তা মশায়, আপনার ইটভাটার নামটা কি? আপনার ভাটা তো দুই মাস আগেই অভিযান চালিয়ে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেটি কার নির্দেশে চালু করেছেন?

চাঁদাবাজি মামলা দায়েরকারী বাদী আলমগীরের ইটভাটা গত জানুয়ারি মাসেই যেহেতু সরকারি অভিযানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে- সেখানে চাঁদা দাবির সুযোগ থাকে কি? নিউজটি লেখার আগে খাগড়াছড়ির সম্মানিত সাংবাদিক বন্ধুদের মনে একবারও সে প্রশ্নটি উদয় হয়নি?


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Theme Created By Web Themes BD.Com