Logo
শিরোনাম :
রাঙ্গামাটিতে দৈনিক সবুজ বাংলার তৃতীয় বর্ষ উদযাপন মহান বিজয় দিবসে রাঙ্গামাটিতে বিএনসিসির কুচকাওয়াজ,ব্যান্ড পরিবেশন ও র‍্যালি অনুষ্ঠান ডেভিল হান্ট অভিযানে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কোতয়ালী থানায় ০১জন গ্রেফতার। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটি: সভাপতি কচি ও সম্পাদক মুরাদ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পরিবারকেও রাষ্ট্রীয় বেতন-ভাতা ও সম্মানী ব্যবস্থার দাবি মরহুম সাংবাদিক মোস্তফা কামালের স্মরন সভা,শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। কারিগরি সমস্যার কারণে সাময়িক বন্ধ থাকার পর ফের উৎপাদনে কেপিএম ৮৭ লক্ষ টাকার ভারতীয় সিগারেট জব্দ করেছে কাপ্তাইয়ে বিজিবি। পার্বত্যাঞ্চলের চলমান সমস্যা কেবল আঞ্চলিক পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নেই: এখন এটি জাতীয় সমস্যা। – ড. দেবপ্রিয ভট্টাচার্য। রাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ‘এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং মেশিন’ স্থাপন

সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন অর রশিদ বীরপ্রতীক আর নেই।

মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন(গিরি সংবাদ) / ১২৫ বার দেখা হয়েছে
শেষ আপডেট : সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক সেনাপ্রধান অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল এম হারুন অর রশিদ বীরপ্রতীক ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।
সেনাবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) এম এ হারুন অর রশিদ বীর প্রতীকের লাশ নগরীর চিটাগং ক্লাব লিমিটেডের গেস্ট হাউজ কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলার ৩০৮ নম্বর রুম থেকে আজ দুপুর ১২টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আত্বীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল ৩ আগস্ট বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে গেস্ট হাউজে উঠেন তিনি। পরে তিনি তার মামা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল ও ফুফাতো ভাই সাখাওয়াত হোসেনের নন্দনকাননের বাসায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান। সাক্ষাৎ শেষে পুনরায় রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে আবার গেস্ট হাউজে ফিরে আসেন। সোমবার সকাল ১০টায় গেস্ট হাউজের লোকজন দরজা নক করলে ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। পরে গেস্ট হাউজের লোকজন রুমের ভেতরে প্রবেশ করেন এবং তাকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান। এরপর চিকিৎসক এসে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত,স্বাধীনতার পরবর্তী বাংলাদেশে চট্টগ্রাম থেকে এ কৃতিসন্তান ১ম সেনাপ্রধান হন। তিনি চট্টগ্রাম হাটহাজারীর কাটিরহাটের ধলই গ্রামে ১৯৪৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মাহমুদুল হক,মাতা জরিনা বেগম। তিনি ১৯৬৪ সালে জাহানপুর হাই স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি এবং ১৯৬৯ সালে রাঙ্গুনীয়া কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন।
২০০০সালে ২৪ডিসেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান নিযুক্ত হন, একই সঙ্গে তাকেঁ লেফটেনেন্ট জেনারেল হিসেবে পদউন্নতি দেওয়া হয়।
এম হারুনুর রশিদ ২৪ ডিসেম্বর ২০০০ সাল থেকে ১৬ জুন ২০০২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২সালে ১৬জুন সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহন করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক উপাধিতে ভূষিত করে। অবসর গ্রহণের পর তিনি রাষ্ট্রদূত হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তি সময়ে ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭৭ বছর। তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে এক মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয় ও গুনগ্রাহী রেখে যান। তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি এখনও।
হারুন অর রশিদের এক আত্মীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ আগে মারা যাওয়া ফুফাতো ভাই অধুনালুপ্ত দৈনিক বঙ্গবার্তার সম্পাদক কে এম শাখাওয়াত হোসেনের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে আসেন তিনি। প্রয়াত শাখাওয়াত হোসেনের বাসায় রাতের খাবার খেয়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম ক্লাবে যান। সকালে নির্ধারিত সময়ে প্রাতরাশে না যাওয়ায় ক্লাবের কর্মকর্তারা ডাকাডাকি করেন। পরে তার মুঠোফোনে ফোন করে রিং বাজলেও সাড়া দেননি। পরে ক্লাব কর্তৃপক্ষ বিকল্প চাবি দিয়ে দরজা খুললে মৃত অবস্থায় পান। পরে পুলিশ ও সেনাদপ্তরে খবর দেওয়া হলে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা ও সিএমপি পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। বাদ আছর চট্টগ্রাম সেনানীবাসে নামাজে জানাজা পর তাঁর গ্রামের বাড়ি পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়। #


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Theme Created By Web Themes BD.Com