
পার্বত্য চট্টগ্রাম ও এই দেশে বন নিধনে বনবিভাগ অনেকাংশে দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ সারাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশের সুরক্ষা সহ বনকে রক্ষা করতে বন বিভাগকে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
২রা আগষ্ট শনিবার সকালে রাঙামাটিতে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। সেগুন গাছ বন্ধ করা হয়তো বনবিভাগ বলবে, জুমচাষ বন্ধের দাবিও করতে পারে বনবিভাগ, যা কোনোভাবেই সঠিক হবে না। পার্বত্য উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রকৃতি সুরক্ষাসহ অর্থনৈতিক ভাবে যেসব গাছের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তা নিয়ে একটি সার্ভে করা দরকার। কোনো গাছের বিকল্প নির্ধারণ না করে তা বন্ধ করা ঠিক হবে না। তিনি আরো বলেন, শুধু ফলজ গাছ নয়, পাহাড়ের প্রকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কি কি গাছ লাগানো যায় তা নির্ধারণ করা উচিত বলে তিনি জানান।
পরিবেশ বিষয়ে পার্বত্য অঞ্চলে আদিকাল হতে বসবাসকারীরা অনেক বেশী সচেতন। পাহাড় ধস এসব মানুষের বাড়িঘরে হয় না। পাহাড় ধস প্রকৃতিকে যারা চিনে না তাদের উপর হয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পরিকল্পিত বনায়ন করি সবুজ বাংলাদেশ গড়ি এই প্রতিপাদ্যে রাঙামাটির জিমনেশিয়াম প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার উদ্ভোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
শনিবার সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের আয়োজনে জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গনে ৭ দিন ব্যাপী মেলার উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্টানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ,পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা,এস,এম, সাজ্জাদ হোসেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের রাঙ্গামাটি সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম, সিভিল সার্জন নুয়েন খীসা প্রমুখ।
পরে জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
এর আগে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে মেলা প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়। #