নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের রপ্তানি বাজার ৬টি খাতের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। আর রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। রপ্তানি বাড়াতে পণ্যের বৈচিত্র্য আনা বা বহুমুখীকরণে উৎপাদকদের তেমন নজর নেই। রপ্তানির তালিকায় নতুন পণ্য যোগ করতে সম্ভাবনাময় আরও কয়েকটি খাতে কর ও সুবিধা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। পোশাক খাতের মত অন্য খাতেও সরকারের নীতি সহায়তা চান রপ্তানিকারকরা।
দীর্ঘদিন ধরেই সরকার রপ্তানি বাড়াতে পণ্যের বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করছে। শিল্প মালিকদের বারবার আহবানও জানানো হচ্ছে। কিন্তু পণ্যের বহুমুখীকরণে এগিয়ে যেতে পারছে না দেশের রপ্তানি খাত।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ২ হাজার ৭৩১ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাত থেকে এসেছে ৮৪ শতাংশ। হোম টেক্সটাইল, কৃষিপণ্য এবং পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আগের চেয়ে কমে গেছে।
গত ২০২১-২২ অর্থবছরে এই তিন খাতের প্রতিটিতে রপ্তানি আয় ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। দেশের রপ্তানি বাজার ৬০ বিলিয়ন ডলারের। এরমধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারই আসে কেবল তৈরি পোশাক খাত থেকে। বাকি ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি হয় অন্যান্য খাতে।
বিশ্ব বাজারের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে নন কটন পণ্য রপ্তানিতে মনোযোগ বাড়াতে হবে। তাই এসব পণ্যের বৈচিত্র্য আনার পাশাপাশি কর সুবিধা চান বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
রপ্তানির জন্য পণ্যের বিশ্বজনীন মান বজায় রাখা জরুরি। তৈরি পোশাক খাতের মত চ্যালেঞ্জ নিয়েই সরকারকে অন্য খাতে তদারকি এবং সুবিধা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পিআরআই’র নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর।
রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণে সরকার ও ব্যবসায়ীদের মনোযোগ না বাড়ালে পিছিয়ে পড়তে হবে বলেও মনে করেন তিনি।