তারা সম্পর্কে আপন বোন। চারজনই মাদক মামলার আসামি। ইয়াবার পারিবারিক সিন্ডিকেটে তারা জড়িয়েছেন নিজেদের শিশু সন্তান ও স্বামীদের। দীর্ঘদিন ধরে টেকনাফ থেকে ঢাকায় নিয়ে আসেন ইয়াবার চালান। গোয়েন্দা পুলিশের আলাদা তিনটি অভিযানে চার বোনই এখন কারাগারে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে প্রতিদিন সারা দেশে যত আসামি গ্রেফতার হয় তার ৭০ ভাগই মাদকসংক্রান্ত। গত কয়েক বছরে যত মাদক উদ্ধার হয়েছে তার মধ্যে বেশির ভাগই ইয়াবা। ৪০ টাকায় কিনে প্রতি পিস ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি। অতি মুনাফার কারণে অনেকেই ঝুঁকছে কারবারে। অনেকেই আবার তৈরি করেছে ইয়াবার পারিবারিক সিন্ডিকেটও।
২৮ মার্চ থেকে ৩০ মে। তিনটি অভিযানে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করে চারজন নারীকে। সম্পর্কে তারা আপন বোন। সবাই ইয়াবা কারবারি।
২৮ মার্চ রাজধানীর ডেমরা থেকে গ্রেফতার করা হয় শাহিদা ও সাবিকুন্নাহারকে। দুজনই দীর্ঘদিন ধরে টেকনাফ থেকে ঢাকায় ইয়াবার চালান এনে রাজধানীর ডেমরাসহ পাশের জেলা নারায়ণগঞ্জে সরবরাহ করতেন।
এরপর ২৩ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয় তৈয়বা বেগমকে। সঙ্গে তার ১১ বছরের মেয়েকে। শিশু কন্যার পেটের মধ্যে পাওয়া যায় ইয়াবা।
সবশেষ ৩০ মে স্বামীসহ গ্রেফতার করা হয় শারমিন আক্তারকে। তার কাছে পাওয়া যায় ১০ হাজার ইয়াবা।
নিজেদের শিশু সন্তানসহ একই পরিবারের চার বোনের মাদক কারবারের ঘটনা নজিরবিহীন। গোয়েদাদের অনুসন্ধান বলছে, তাদের একমাত্র ভাই ও বাবা ইয়াবার কারবারে জড়িত।
পুলিশ বলছে, যত দিন চাহিদা থাকবে তত দিন থাকবে মাদকের সরবরাহ। আর রমরমা এই ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে কারবারিরাও আবিষ্কার করবে নতুন নতুন কৌশল।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার কাজী শফিকুল আলম বলেন, আমরা আশ্চর্য হলাম যে একটা পরিবারের সবাই কীভাবে মাদক ব্যবসায়ী হয়ে যায়। তারপর আবার এত দূরের পথ। তার ওপর আবার নারী। এ ব্যাপারটা আমার তদন্ত পর্যায়ে আছি। তাদের সঙ্গে আরও কারা জড়িত আছেন এবং ভোক্তারা কার কাছ থেকে মাদক সংগ্রহ করেন- এ ব্যাপারে আমাদের নজরদারি আছে।