নাটোর সংবাদদাতা: নাটোরের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি কাঁচাগোল্লা জিআই পণ্য হিসাবে স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি কাঁচাগোল্লা নিবন্ধনের জন্য জেলা প্রশাসন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে জেলা প্রশাসক শামিম আহমেদ জিআই পণ্য হিসেবে কাাঁচাগোল্লাকে তালিকা ভুক্ত করার লক্ষ্যে এফিডেভিটের একটি কপি শিল্প মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসক শামিম আহমেদ জানান, যেহেতু কাঁচা গোল্লার সাথে নাটোরের আবেগ জড়িত একারণে আমার বিদায়ের পূর্বে আমি কাজটি শুরু করেছি। আশা করছি অল্প দিনের মধ্যে জিআই পণ্য হিসেবে কাঁচা গোল্লা অন্তর্ভুক্ত হবে। কারণ আদি কাঁচা গোল্লার প্রকৃতি পরিবর্তন করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে। এই তালিকা ভুক্তির মধ্য দিয়ে নাটোরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষিত হবে।
উল্লেখ্য, আজ থেকে ২৫০ বছর আগে আবিষ্কৃত হয় এই কাঁচা গোল্লা। নাটোরের রানী ভবানীর রাজপ্রাসাদে নিয়মিত মিষ্টি সরবরাহ করতেন লালবাজারের মিষ্টি বিক্রেতা মধুসুধন পাল। একদিন মধুসুদন পালের ২০ জন কর্মচারীর সবাই অসুস্থ হয়ে গেলে দোকানে রাখা ২ মণ ছানা নষ্ট হয়ে যাবে ভেবে মধুসূদন ছানার উপর চিনির সিরা দিয়ে ভিজিয়ে দেন। পরে রানী ভবানীর লোকেরা মিষ্টি নিতে আসলে তিনি সিরা দেয়া ছানাগুলোই পাঠিয়ে দেন। রানী ভবানী এই মিষ্টি খেয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেন। মধুসূদন পাল এর নাম দেন কাঁচা গোল্লা। নাটোরের বিয়ে, বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং অতিথি আপ্যায়নে এই কাঁচা গোল্লা সরবরাহ করা হয়।