স্পোটর্স ডেস্ক : আইপিএলে থাকলে বিশাল অংকের টাকার ঝনঝনানি। যে কারণে বিশ্বের সব ক্রিকেটারেরই ইচ্ছা থাকে এখানে অংশ নেয়ার। ২ মাসের ক্রিকেটযজ্ঞ থেকে কোটি কোটি রুপি আয় করেন একেকজন ক্রিকেটার।
তবে বড় আয়টা হয়ে থাকে আয়োজকদের। চলতি আসর থেকে শুরু হয়েছে ৪ বছরের চক্র। যেটির মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত। এই চক্রের মিডিয়াস্বত্ব বিক্রি করা হয়েছে ৪৮ হাজার ৩৯০ কোটি রুপিতে। যেটি আগের চক্রের চেয়ে ৩ গুণ বেশি।
৪টি প্যাকেজে এই অর্থ পাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড- বিসিসিআই। এরমধ্যে ২৩ হাজার ৫৭৫ কোটি রুপির বিনিময়ে টিভি স্বত্ব কিনে নিয়েছে ‘স্টার স্পোর্টস’। এই ৪ বছরে আইপিএলে ৪১০টি ম্যাচ আয়োজন করা হবে।
প্রতিটি ম্যাচ টিভিতে সম্প্রচার করার জন্য স্টার স্পোর্টসকে খরচ করতে হচ্ছে ৫৭.৪ কোটি রুপি।
ডিজিটাল মিডিয়ার রাইটস কিনে নিয়েছে ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানির ‘ভায়াকম এইটিন’। দেশ-বিদেশে সম্প্রচারের তিনটি প্যাকেজ বাবদ এখানে তাদের খরচ ২৩ হাজার ৭৫৮ কোটি রূপি। এরমধ্যে কেবল ডিজিটাল মিডিয়ায় সম্প্রচার বাবদ ভায়াকমকে দিতে হবে ২০ হাজার ৫০০ কোটি রুপি।
প্রতিটি ম্যাচের জন্য ভায়াকম এইটিনের খরচ ৫০ কোটি রুপি। ভায়াকম আশা করছে, এবারের আসর থেকে কেবল বিজ্ঞাপন বাবদ তারা আয় করবে ৩৭০০ কোটি রুপি।
এমন অর্থের ছড়াছড়ি আইপিএলকে বানিয়েছে ক্রিকেটের সবচেয়ে দামী এবং ক্রীড়া দুনিয়ার অন্যতম ব্যয়বহুল আসর হিসেবে। আয়োজকদের দাবি, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পর পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামী আসর আইপিএল। দর্শক উপস্থিতির বিবেচনায় আইপিএল রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে।